তৃণমূল দলটাই থাকবে না , জানুয়ারিতে ২০ জন মন্ত্রী দল ছাড়বে : আব্দুল মান্নান

22nd July 2020 12:13 pm হুগলী
তৃণমূল দলটাই থাকবে না , জানুয়ারিতে ২০ জন মন্ত্রী দল ছাড়বে : আব্দুল মান্নান


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শেওড়াফুলি ) :  ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হবার আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।  তাই বামপন্থী ও কংগ্রেসের কাছে আবেদন করেছেন।  ভূতের মুখে রাম নাম ।  বিপদে পড়া বাঘের গল্প সমস্ত মানুষ জানেন।  আজকের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে তাই মনে হচ্ছে।  উনি রক্ষা পাবেন না।  কারণ গণতন্ত্রের নমুনা দেখিয়েছেন।কিভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করছেন মানুষ দেখেছে।  পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পৌরসভা দখল করেছেন।  বিরোধী দলকে কি মর্যাদা  দিতে হয় তাও তিনি দেখিয়েছেন । শহীদ দিবস নয় দলত্যাগ দিবস। বিরোধীদলনেতা বলেন মানুষ জানে প্রতিবারের দলত্যাগ করিয়ে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দেয় এই শহীদ দিবসে। সেই কারণে এটি শহীদ দিবস নয় দলত্যাগ দীবস।  আপনাকে মানুষ চিনে নিয়েছে আপনি এবারে বাঁচতে পারবেন না।  আপনার দল ভেঙ্গে যাবে।  নিজের দলকে বাঁচান।  দলটা থাকবে না। ১০০ জন এমএলএ  দল ছাড়বে । জানুয়ারি মাসে দেখুন না ২০ জন মন্ত্রী ও ছাড়বে  আপনার দল।  আপনার ভাইপো কে নিয়ে থাকতে হবে। করুণ অবস্থায় থাকতে হবে আপনাকে।  পরিণতি দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।